জেসমিন জেসি

চুলের যত্নঃ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।


চুল মানুষের সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক । সুস্থ ঝলমলে এবং ঘন চুল কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্যই বাড়ায় না ,বরং এটি সুস্থ দেহ ও সঠিক যত্নের প্রতিচ্ছবি |বর্তমানের দূষণ স্ট্রেস অনিয়মিত জীবনযাপন এবং অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে অনেকেরই চুলের নানা সমস্যায় ভুগছেন |তাই সঠিক যত্ন নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় |চলুন জেনে নেওয়া যাক চুলের যত্ন নিয়ে কিছু কার্যকর টি



আরো পড়ুন: চুলের যত্ন ও সৌন্দর্য

• নিয়মিত পরিষ্কার রাখা
• তেল ব্যবহার: প্রাকৃতিপুষ্টি
• সঠিক খাদ্যাভ্যাস
• তাপ থেকে দূরে থাকুন
• কেমিক্যাল ও রং ব্যবহারে সতর্কতা
• নিয়মিত টিম করা
• স্ট্রেস কমানো

1. নিয়মিত পরিষ্কার রাখ|, চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু ব্যবহার করুন তবে অতিরিক্ত ধোয়া ও ক্ষতিকর হতে পারে আপনার স্কেল যদি বেশি তৈলাক্ত হয় তাহলে হালকা মাইন্ড শ্যাম্পু বেছে নিন শ্যামপুর পরে অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন যাতে চুল মসৃণ ও কোমল থাকে





2. তেল ব্যবহার: প্রাকৃতিপুষ্টি
চুলেতেল দেওয়া চুলের যত্নের অন্যতম প্রাচীন এবং
কার্যকর উপায় নারকেল তেল এমন অয়েল অলিভ অয়েল বা অর্গান অয়েল চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনে সপ্তাহে অন্তত একবার তুলে হালকা গরম তেল মাসাজ করলে সঞ্চালন বাড়ে এবং চুল পড়া কমে




3.সঠিক খাদ্যাভ্যাস ,শুধু বাইরের যত্ন নয় চুলের জন্য ভেতর থেকে পুষ্টি পাওয়াটা ও জরুরী, প্রোটিন আয়রন জিংক ভিটামিন এ সি ডি এবং ই চুলের বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ডিম বাদাম মাছ শাক-সবজি দুধ ও প্রচুর পানি পান করলে চুল থাকে স্বাস্থ্যবান ও প্রাণবন্ত তাপ থেকে দূরে থাকুন





4.তাপ থেকে দূরে থাকুন
চুলে নিয়মিত হেয়ার ড্রায়ার স্ট্রেটনার বা কালার ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক আদ্রতা নষ্ট হয়ে যায় এতে চুল রুক্ষ ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে তা ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই হিট প্রটেকশন স্প্রে ব্যবহার করুন




5.কেমিক্যাল ও রং ব্যবহারে সতর্কতা হেয়ার কালার বা স্পার্মিং এর মত প্রসেসে ব্যবহৃত কেমিক্যাল গুলো চুলের স্বাভাবিক গঠনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে যদি রং ব্যবহার করতেই হয় তাহলে এমোনিয়া মুক্ত প্রোডাক্ট বেছে নিন এবং রং করার পর পর্যাপ্ত কন্ডিশনিং করুন




6.নিয়মিত টিম করা, চুলে যদি দু মুখো হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয় তাহলে প্রতি দুই থেকে তিন মাসে একবার অগ্রভাগ ড্রিম করুন এটি চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখে এবং বৃদ্ধিতে সহায়তা করে


7.স্ট্রেস কমানো

অতিরিক্ত মানসিক চাপ চুল পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ যোগ ব্যায়াম মেডিটেশন পর্যাপ্ত ঘুম ও ব্যায়াম এর মাধ্যমে স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখুন মনে রাখবেন সুস্থ মন মানেই সুন্দর চুল





উপসংহার : চুলের যত্ন কোন বিলাসিতা নয় এটি একটি প্রয়োজন প্রতিদিনের সামান্য কিছু যত্ন ও সচেতনতার মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন মসৃণ উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যবান চুল প্রকৃতিকে গুরুত্ব দিন কেমিক্যাল এড়িয়ে চলুন এবং নিজেকে ভালবাসুন আপনার চুলও আপনাকে ভালবাসবে